1. m.a.roufekhc1@gmail.com : alokitokha :
পানছড়িতে কোটি টাকায় নির্মিত ৪টি কালভার্ট ভেঙে রড নিয়ে গেলো কারা? - আলোকিত খাগড়াছড়ি

পানছড়িতে কোটি টাকায় নির্মিত ৪টি কালভার্ট ভেঙে রড নিয়ে গেলো কারা?

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪টি কালভার্ট ভেঙে রড নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পানছড়ি উপজেলার লোগাং ও চেঙ্গী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সীমান্ত সড়ক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। কালভার্টগুলোর মধ্যে ২টি ত্রাণের এবং অপর দুটি পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের কালভার্ট ছিল বলে জানা গেছে।
এই কালভার্টের ছাদ এবং উইনওয়ালসহ সব ভেঙে রড নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি কালভার্টের ছাদ থেকে শুরু করে উইনওয়াল সম্পূর্ণ অংশই ভেঙে রড নিয়ে নেয়া হয়েছে। অন্য দুটির ছাদ ভেঙে রড নেয়া হয়েছে। অপর কালভার্টের এক পাশের কিছু অংশ ভেঙে রড নেয়া হয়েছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, এ দুর্ধর্ষ ডাকাতি রাতে হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনে-দুপুরে এই কালভার্টগুলো প্রকাশ্যে ভাঙা হয়েছে। এরপর রড বেঁধে গাড়িতে করে পানছড়িতে নেয়া হয়েছে। তবে যারা ভেঙেছে এদের কাউকে চিনতে পারেননি তারা।
এই কালভার্টের ছাদ ভেঙে রড নেওয়া হয়েছে।

 

বাসিন্দা দিগন্ত চাকমা বলেন, ‘এখানে সীমান্ত সড়কের কাজ চলছে। আমরা তো মনে করেছি কালভার্টগুলো তারা ভাঙছে। এখন শুনছি কারা ভাঙছে তা কেউ জানে না। তবে কালভার্ট ভেঙে রডগুলো একটি গাড়িতে করে নিয়ে পানছড়ির দিকে গেছে সেটা আমি দেখেছি। এভাবে দু-তিনদিন রড নিয়ে যেতে আমি দেখেছি।’
তবে দিনে-দুপুরে একটি প্রধান সড়কে লাগাতার কয়েকদিন সময় নিয়ে প্রকাশ্যে কালভার্ট ভাঙা হলো এবং গাড়িতে করে রড নিয়ে যাওয়া হলো তা কেন সীমান্ত সড়কের ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলো না! তা মানুষের প্রশ্ন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
এটির ছাদ ভেঙে রড নেওয়া হয়েছে।

 

ঘটনার পরপরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টিম তা সরজমিন তদন্ত করেছে। এরপরে পানছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা থানায় জিডি করেছেন। উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘ত্রাণের কালভার্ট ভেঙে কে বা কারা রড নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর সরজমিন গিয়ে আমরা তার সত্যতা পেয়েছি। এরপর তাৎক্ষণিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। কালভার্টগুলো ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ছিল। পুলিশ এটি তদন্ত করছে। সুষ্ঠু তদন্তে আশা করি দুর্বৃত্তরা ধরা পড়বে।’
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলীকে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই কালভার্টের এক পাশের রড নেওয়া হয়েছে। ছাদের রড নেওয়ার সময় পায়নি দুর্বৃত্তরা।

 

পানছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. হারুন বলেন, ‘কালভার্ট ভেঙে রড খোয়া গেছে এ বিষয়ে পিআইও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাদের খুঁজে বের করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টের অধিকার কারও নেই। কালভার্ট ভেঙে রড নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত চলমান রয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ